আমি কারাগারে বৈষম্যের শিকার

সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক বলেছেন, ‘আমাকে কারাগারে কথা বলতে দেওয়া হয় না। ১০ মিনিটিও কথা বলতে দেয় না। আমি কারাগারে বৈষম্যের শিকার। মানুষের যে মৌলিক মানবাধিকার আছে, সেটা আমার ক্ষেত্রে লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

গতকাল বুধবার নিউ মার্কেট থানার হত্যাচেষ্টা মামলার রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল সকালে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য পলককে আদালতে তোলা হয়। রিমান্ড শুনানিতে পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, আড়াই মাস ধরে কারাগারে পলকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বৈষম্যের শিকার। তাঁকে অন্তত পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। এ সময় তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ আসামি পলক। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে এখন ফোনে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।
ফোনে কথা বলতে দিলে তিনি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে পারেন। শুনানি শেষে আদালত আসামি পলকের কারাগারে ফোনে কথা বলার আবেদন নামঞ্জুর করেন।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহম্মেদের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

এদিন তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়।

এরপর রাজধানীর নিউ মার্কেট থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় তাঁদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. ওমর ফারুক। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি রিমান্ড বাতিল এবং জামিন চেয়ে শুনানি করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

Scroll to Top