রমজানের শুরুতেই সয়াবিন তেলের বাজারে বিরাট সুখবর

রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি হচ্ছে ১৪কোটি লিটার অপরিশোধিত সয়াবিন তেল। আর্জেন্টিনাসহ একাধিক দেশ থেকে ট্যাংকারে আসছে এসব সয়াবিন তেল। কারখানায় পরিশোধন শেষে এই তেল বাজারজাত করা হলে সয়াবিন তেলের সংকট কাটবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
কদিন পরেই রমজান মাস শুরু।এর আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরে পাঁচ ট্যাংকারে আমদানি হয়েছে ৭৮হাজার টন বা সাড়ে ৮কোটি লিটার সয়াবিন তেল।আর রোজা শুরুর প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ৪ট্যাংকারে আরও ৫১ হাজার টন সয়াবিন তেল আসছে।অর্থাৎ রোজার এক সপ্তাহের মধ্যেই এক লাখ ২৯ হাজার টন বা ১৪কোটি লিটার সয়াবিন তেল আমদানি হচ্ছে।চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ ও আমদানিকারকদের কাছ থেকে মেলেছে আমদানির এসব তথ্য ।

রোজাকে সামনে রেখে বাজার থেকে কার্যত উধাও বোতলজাত সয়াবিন তেল। এই অবস্থায় একের পর এক ট্যাংকার বন্দরে পৌঁছাতে শুরু করেছে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে।বর্তমানে বন্দরের বহির্নোঙরে এমটি চ্যাম্পিয়ন অ্যাভোনি ট্যাংকার থেকে খালাস হচ্ছে টি কে গ্রুপের আমদানি করা সয়াবিন তেল।

আর্জেন্টিনা থেকে আসা ট্যাংকারটিতে রয়েছে ১৩হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল।এই ট্যাংকারের তেল খালাস শেষ হওয়ার আগেই মঙ্গলবার বন্দরে পৌঁছেছে এমটি মায়ের্সক বেফোর্ট। এটিতেও টি কে গ্রুপের সয়াবিন তেল রয়েছে ১৫ হাজার টন। আজ বৃহস্পতিবার টি কে গ্রুপের ১৫ হাজার টন সয়াবিন তেল নিয়ে বন্দরে পৌছেছে এমটি অ্যাভেক্স নামের ট্যাংকার। সব মিলিয়ে তিনটি ট্যাংকারে টি কে গ্রুপ আমদানি করেছে ৪৩ হাজার টন।

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এবং সিটি গ্রুপও সয়াবিন তেল আমদানি করছে। কাল শুক্রবার এমজিআইয়ের পাঁচ হাজার টন সয়াবিন তেল নিয়ে বন্দরে আসছে এমটিএম আমস্টারডাম ট্যাংকার। ২মার্চ বন্দরে পৌঁছাবে ২৫ হাজার টন সয়াবিন তেলবাহী সি ওয়েজ গ্যালে ট্যাংকার।

এই ট্যাংকার সিটি গ্রুপের ১৪ হাজার টন এবং অন্যান্য কোম্পানির ১১ হাজার টন সয়াবিন তেল আনছে।রোজা শুরুর পর আরও চার ট্যাংকারে এমজিআইয়ের নামে আমদানি হচ্ছে ৪৫ হাজার টন সয়াবিন তেল।সব মিলিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে টি কে গ্রুপের ৪৩ হাজার টন,এমজিআইয়ের ৫০ হাজার টনএবং সিটি গ্রুপের ২৬হাজার টন সয়াবিন তেল আমদানি হচ্ছে।এর বাইরে অন্যান্য কোম্পানির ১১হাজার টন সয়াবিন তেল আমদানির হিসাব মেলেছে।

টি কে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার জানান, আমদানি করা অপরিশোধিত তেল খালাস করে দ্রুত পরিশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। খুব দ্রুত এই সয়াবিন তেল বাজারজাত করা হলে সংকট বেশি দিন থাকবে না মনে করেন আমদানিকারকরা।

Scroll to Top