গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতি সৌদি আরব কোনোভাবেই মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের যে কোনো প্রচেষ্টাকে সৌদি আরব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে, তা যে অজুহাতেই হোক না কেন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) তুরস্কে আন্টালিয়া কূটনীতি ফোরামের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত গাজা কন্টাক্ট গ্রুপের বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা প্রণয়নের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ‘যখন ফিলিস্তিনিরা জীবনের সবচেয়ে মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত থাকে, তখন স্বেচ্ছায় অভিবাসনের কথা গ্রহণযোগ্য নয়।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ২১ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করার এবং উপত্যকাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা’য় রূপান্তর করার প্রস্তাব করেছেন। সৌদি মন্ত্রী গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং অবরুদ্ধ ছিটমহলে মানবিক সাহায্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার জরুরি প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন।
১৯ জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি ভেঙে ১৮ মার্চ ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় নতুন করে আক্রমণ চালায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের প্রতিশোধমূলক হামলার পর থেকে গাজায় ৫০,৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সামরিক তাণ্ডবের ফলে উপত্যকাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং এটি প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য কট্টর ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যা মামলারও মুখোমুখি।