বাংলাদেশে যত পরিবর্তন সব বিএনপির হাত ধরেই: রুমিন
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, বাংলাদেশে যত শুভ পরিবর্তন, ভালোর জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য, বাংলাদেশের অগ্রগতির পরিবর্তন হয়েছে- সব জিয়া পরিবার ও বিএনপির হাত ধরেই হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিনাজপুর শহরের নাজমা গার্ডেন মিলনায়তনে বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে বিপদের মধ্যে ফেলে যখন আওয়ামী লীগ পালিয়েছিল তখন কে এই মানুষের দায়িত্ব নিয়ে বলেছিল ‘উই রিভোল্ট’। তিনি হচ্ছেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের জন্মের পর সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়ে গেল, কারো আর রাজনীতি করার ক্ষমতা নাই। সব দল এক দলে পরিণত হলো। সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশে আবারও সব রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার অধিকার ফিরে এসেছিল শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে।
৭৪-এর দুর্ভিক্ষ নিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, সেই সময় বাসন্তী জাল পরে লজ্জা নিবারণ করেছিলেন। আর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো। ওই জায়গা থেকে নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে গার্মেন্টস শিল্প শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। বিদেশ থেকে রেমিটেন্স এবং কৃষিতে বিপ্লব এনেছিলেন জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র এসেছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার হাত ধরে। এ দেশের নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার হাতে।
আওয়ামী লীগ আমলে পাতানো নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপি সবসময় সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আন্দোলন করে এসেছে। এখনো কি সেই নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে?
নির্বাচন নিয়ে টালবাহানার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কখনো বলা হচ্ছে ডিসেম্বর, কখনো ফেব্রুয়ারি, কখনো বলা হচ্ছে জুন। দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচন দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ৩৬ দিনে এত বড় গণঅভ্যুত্থান হয় না। এর পটভুমি আপনাদের, আমাদের সবার রক্তে-ঘামে, তারপর তুঙ্গে হয়েছে। এই ৩৬ দিনের গণঅভ্যুত্থানে আমাদের সবার অবদান রয়েছে।
বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, নতুনরা আসুন আমরা চাই, কিন্তু রাজনীতির স্বচ্ছতাতে আসেন। ৮ মাসে পিএসের ৪শ কোটি টাকা যদি উধাও হয়ে যায়, সাধারণ গ্রামের পরিবার থেকে আসার পরে নিজেই বল- পকেটে আমার দিনের চলার টাকা নাই। ছাত্রলীগ করছি কারণ- হলে জায়গা না হলে আমার পড়াশোনা হতো না। আর এখন যদি বলেন- আপনি জমিদারের নাতি, তাহলে কি ভালো হয়? ভালো হয়নারে বাবা। এ কথাগুলো একটু বোঝেন, গণমানুষের সঙ্গে মেশেন, গণমানুষের কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করেন। নিশ্চয়ই আপনাদের দলও বাংলাদেশে রাজনীতি করবে। আমরা সবার সফলতা কামনা করি।
বিএনপির মিডিয়া সেল আয়োজিত কর্মশালায় জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলালের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু উদ্বোধন করেন। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।
কর্মশালায় জেলা বিএনপি, উপজেলার ২২টি ইউনিট এবং অঙ্গ সংগঠন থেকে ৪ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।