এ ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনায় সারাদেশ জুড়ে আলোড়ন। নিজের বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক তরুণী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ঘটনার পেছনের আসল কারণ জানতে চাইছে সবাই। এ বিষয়ে বিশিষ্ট সমাজ বিশ্লেষক ও মানবাধিকারকর্মী শায়েক আহম্মুদুল্লা জানালেন এক চমকে দেওয়া বিশ্লেষণ।
“এটা শুধু পারিবারিক নয়, সামাজিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি” – শায়েক আহম্মুদুল্লা
শায়েক আহম্মুদুল্লা বলেন,
“এই ধরনের ঘটনা আচমকা ঘটে না। বছরের পর বছর ধরে মেয়েটির ভেতরে জমে থাকা ক্ষোভ, শঙ্কা ও ভয়ই একদিন বিস্ফোরণের রূপ নেয়। এটা আত্মরক্ষা, এটা সমাজের নিপীড়িত কণ্ঠের এক নিরুপায় প্রতিবাদ।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা যদি বাড়ির চার দেয়ালের ভেতরকার অন্ধকার দেখি না, পরিবারে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ না করি, তাহলে এমন ঘটনা শুধু বাড়তেই থাকবে।”
ঘটনার পেছনে কী ছিল?
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল। শুধু শারীরিক নয়, মানসিক নির্যাতনও তাকে বিপর্যস্ত করে তোলে। শায়েক আহম্মুদুল্লা বলেন,
“এই মেয়ে যে কাজ করেছে, তা আইনের চোখে অপরাধ হতে পারে, কিন্তু তার প্রেক্ষাপট বুঝতে হবে মানবিক চোখে। আইনের পাশাপাশি আমাদের সমাজকে প্রশ্ন করতে হবে – কেন একজন কিশোরীকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হলো?”
সমাধান কী?
শায়েক আহম্মুদুল্লার মতে,
“শুধু আইন নয়, পরিবার এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিকতা ও সহনশীলতা শেখানো জরুরি। ছেলে-মেয়ে উভয়কেই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।”