চীনের সহায়তায় পাকিস্তান সম্প্রতি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট এক গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান। সেন্টার ফর জয়েন্ট ওয়ারফেয়ার স্টাডিজের মহাপরিচালক অশোক কুমার জানিয়েছেন, চীন পাকিস্তানের স্যাটেলাইট ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজিয়ে দেয়, যার ফলে পাকিস্তান ভারতের আকাশপথের প্রতিটি পদক্ষেপ সহজেই শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, চীন পাকিস্তানকে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার পুনর্বিন্যাসে সাহায্য করে, যাতে ভারতীয় বিমান চলাচল নজরে আসে। গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এরপরেই পাকিস্তানের উপগ্রহ ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নতুন করে সাজিয়ে দেয় চীন।
ভারত গত ৭ মে পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালিয়ে নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংসের দাবি করে। তবে পাকিস্তান জানায়, ওই হামলায় তাদের ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আবাসিক ভবন, মসজিদ ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জবাবে পাকিস্তান দাবি করে, তারা ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে তিনটি ফরাসি নির্মিত রাফালও রয়েছে। যদিও ভারত এই ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, হামলার রাতে পাকিস্তান চীনের তৈরি জে-১০সি যুদ্ধবিমান এবং পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র এই প্রথমবারের মতো বাস্তব সংঘাতে ব্যবহৃত হলো। বেইজিংয়ে চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখনো এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ইসহাক দার জানান, ভোর ৪টায় চীনা প্রতিনিধি দল ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত ছিলেন, যার নেতৃত্বে ছিলেন রাষ্ট্রদূত নিজেই। আমরা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করি এবং তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
গত ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আকস্মিকভাবে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির’ ঘোষণা দেন, যা এখনো কার্যকর রয়েছে।
এ অবস্থায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ১৯ মে তিন দিনের সফরে বেইজিং যাচ্ছেন। সেখানে তিনি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন বলে ইসলামাবাদ জানিয়েছে।
