দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা এখন তুঙ্গে। একদিকে সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দূরত্ব বেড়েছে, অন্যদিকে সেনাবাহিনীর সাথেও তৈরি হয়েছে মতপার্থক্য। করিডর চুক্তি, বন্দর ইস্যু এবং বিতর্কিত উপদেষ্টাদের ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা ওয়ান ইলেভেন দেখেছি। ইতিহাস বলেছে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাজনীতির ঘনিষ্ঠতা কখনোই দেশের জন্য ভালো ফল বয়ে আনেনি। যার যার কাজ, তাকেই তা পালন করা উচিত।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আওয়ামী আমলের প্রতিটি নির্বাচন আমরা অবৈধ বলেই গণ্য করি। আদালতের মাধ্যমে নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টায় নতুন করে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। তার পরিবর্তে, আমাদের উচিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনমুখী হওয়া।”
সম্প্রতি সেনাবাহিনীর প্রকাশিত ৬২৬ জনের তালিকা নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। “যদি আগেই তালিকাটি প্রকাশ করা হতো, জনমনে বিভ্রান্তি বা সন্দেহ তৈরি হতো না,” বলেন নাহিদ।
তিনি আরও জানান, বিগত সময়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। “আমলাতন্ত্র, পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে। এখন সময় এসেছে এসব প্রতিষ্ঠানকে জনগণের জন্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার।”
ঘুম (গুম) সংক্রান্ত অভিযোগের প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, “অনেক অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা এখনো ধরা পড়েননি। এসব বিষয়ে স্বচ্ছতা না আনলে মানুষের আস্থা ফিরবে না।”
নাহিদের এই বক্তব্য রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও জনগণের প্রত্যাশা নিয়ে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন—জনগণের আস্থা ফেরাতে হলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে কাজ করতে হবে।