ছাত্রীর বাবার সঙ্গে প্রেম, ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের পর গ্রেপ্তার শিক্ষিকা

২৫ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষিকার নাম শ্রীদেবী রুদাগি। তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী। নাম সুরেশ (ছদ্মনাম); স্ত্রী এবং তিন মেয়েকে নিয়ে ভারতের বেঙ্গালুরু শহরেই থাকেন তিনি। ২০২৩ সালে ৫ বছর বয়সী মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে গিয়ে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে পরিচয়, পরে তাদের মধ্যে ফোন নম্বর বিনিময় হয়।

এরপর থেকেই তারা ফোনে কথা বলতে শুরু করেন। ভিডিও কলে কথা বলতেন। তারপর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে ৪ লাখ টাকা আদায় করেন ওই শিক্ষিকা। পরে আরও ২০ লাখ টাকা দাবি করেন।

এমনই অভিযোগ উঠে বেঙ্গালুরুর প্রি-স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রীদেবী রুদাগির বিরুদ্ধে। অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন তিনি। ওই শিক্ষিকা ছাড়াও আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী পুলিশকে জানিয়েছে, ভর্তির পর তার সঙ্গে শ্রীদেবী যোগাযোগ রাখতেন। তারা ফোনে কথা বলার ও ভিডিও কল করার সময় আলাদা সিম কার্ড ব্যবহার করতেন। ধীরে ধীরে তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এরপরেই তার থেকে শ্রীদেবী চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

ভুক্তভোগীর আরও অভিযোগ, গত জানুয়ারিতে ওই শিক্ষিকা ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এতো টাকা ভুক্তভোগী দিতে না চাওয়ায় ৫০ হাজার টাকা ধার চাওয়ার অজুহাতে শ্রীদেবী তার বাড়ি পর্যন্ত হানা দেন বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। এরপর ভুক্তভোগী ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়ায় তিনি পরিবারকে গুজরাতে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

গত মার্চ মাসে মেয়ের স্কুল থেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট আনতে গিয়ে শ্রীদেবী ও তার দুই সহপাঠীর খপ্পরে পড়েন ভুক্তভোগী। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে শ্রীদেবী ২০ লাখ টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। টাকা না দিলে ছবি ও ভিডিওগুলো তার পরিবারের কাছে পাঠানোর হুমকিও দেওয়া হয়।

শেষ পর্যন্ত ১৫ লাখ টাকা দিতে রাজি হন ভুক্তভোগী। প্রায় ২ লাখ টাকা দিয়েও দেন তিনি। পরে মার্চের মাঝামাঝি ওই শিক্ষিকা ফোন করে বাকি টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এরপর ভুক্তভোগী স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় বলে খবর।