বাংলা ৬ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকার

গল্প আর অভিনয়—এই দুটো একটি সিনেমার মেরুদণ্ড হলেও, মাঝে মাঝে পরিচালকেরা দর্শকদের আকর্ষণ বাড়াতে সাহসী দৃশ্যকেও ব্যবহার করে থাকেন। এমন অনেক বাংলা সিনেমা রয়েছে, যেগুলোর কিছু দৃশ্য নিয়েই তৈরি হয়েছে আলোচনা, বিতর্ক আর কৌতূহল। চলুন এক নজরে দেখে নিই সেইসব সিনেমাগুলো:

১. ছত্রাক (২০১১) কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন শ্রীলঙ্কান নির্মাতা ভিমুক্তি জয়াসুন্দর। পাওলি দামের একটি সাহসী দৃশ্য প্রকাশ্যে আসার পর ছবি নিয়ে তৈরি হয় তুমুল বিতর্ক, যা ছবিটিকে আলোচনার শীর্ষে নিয়ে আসে।

২. বেডরুম (২০১২) মৈনাক ভৌমিক পরিচালিত এই ছবিতে একাধিক চরিত্রের জটিল সম্পর্ক আর মানসিক দ্বন্দ্বের পাশাপাশি সাহসী কিছু দৃশ্যও ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। অভিনয়ে ছিলেন আবির চট্টোপাধ্যায়, পাওলি দাম, পার্নো মিত্রসহ আরও অনেকে।

৩. নাগরদোলা (২০০৫) রাজ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় এই ছবিতে নারী-মনস্তত্ত্ব ও যৌনতার দ্বন্দ্ব খুব স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিনয় ছিল বিশেষভাবে প্রশংসিত।

৪. কসমিক সেক্স (২০১৪) বাউল দর্শনের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ছবিতে রয়েছে আত্মা ও শরীরের সম্পর্ক নিয়ে এক নতুন ব্যাখ্যা। অমিতাভ চক্রবর্তীর পরিচালনায় সাহসী অভিনয়ে মুগ্ধ করেছিলেন রি।

৫. অন্তরমহল (২০০৫) ঋতুপর্ণ ঘোষের এই ছবিতে ঊনবিংশ শতাব্দীর সমাজব্যবস্থা আর নারীর অবস্থান ফুটে উঠেছে। সাহসী উপস্থাপনার জন্য ছবিটি সমালোচিত হলেও প্রশংসিতও হয়। অভিনয়ে ছিলেন সোহা আলি খান, জ্যাকি শ্রফ ও অভিষেক বচ্চন।

৬. গান্ডু এই ছবিটি মুক্তির আগেই নানা বিতর্কে জড়ায়। অতিরিক্ত সাহসী দৃশ্যের কারণে অনেকেই হল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তবে সিনেমার আঙ্গিক ও ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা একে করে তোলে অনন্য।

এই সিনেমাগুলো তাদের সাহসী বিষয়বস্তুর জন্য আলোচনার জন্ম দিয়েছে, তবে প্রতিটি ছবির পেছনেই রয়েছে একটি গভীর বার্তা ও শিল্পসত্তা।

Scroll to Top