বিশ্বজুড়ে বদলাচ্ছে যুদ্ধের ধরন, নতুন অস্ত্র সামনে আনলো ইরান

যখন কম খরচে শত্রুর মোকাবিলায় নানা কৌশল নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল সহ বিভিন্ন দেশ, এমন পরিস্থিতিতে নতুন এক অস্ত্র নিয়ে হাজির হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ইরান। সেই অস্ত্রেই বদলে যেতে পারে প্রচলিত যুদ্ধের ধরণ।

প্রযুক্তির দুনিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে ইরান। আয়াতুল্লাহ খামেনির নেতৃত্বাধীন দেশটি প্রযুক্তিতে একটি প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। ইরান বহু বছর ধরে লেজার প্রযুক্তি নিয়ে বিস্তৃত কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং এর মাধ্যমে তৈরি করেছে গ্যাস লেজার, সেমিকন্ডাক্টর লেজারসহ নানা ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এসব অস্ত্র অত্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এবং চরম ধ্বংস সাধনে সক্ষম। এগুলো যেকোনো আবহাওয়া ও ভৌগলিক পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ইরান সফলভাবে দশ কিলোওয়াট শক্তির লেজার পরীক্ষা চালিয়ে বিশ্বের শীর্ষ শক্তিশালী লেজার প্রস্তুতকারক পাঁচ দেশের কাতারে জায়গা করে নেয়।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বৃহৎ আকারের সামরিক মহড়ায় সুরুজ লেজার ভিত্তিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষা চালায় রাশিয়ার মিত্র দেশটি। যা আকাশপথে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলা থেকে রক্ষা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মতো বিভিন্ন দেশ এই প্রযুক্তিতে অস্ত্র বানিয়েছে। তবে, লেজার অস্ত্র দিয়ে ড্রোন, হেলিকপ্টার, মর্টারশেল ও রকেট ভূপাতিত করা যায়। তবে এসব অস্ত্রের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গবেষণা এখনও চলমান রয়েছে। এমনকি এ ধরণের লেজার অস্ত্র যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়াও এই প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে পিছিয়ে নেই।

সমরবিদদের ধারণা রাশিয়া স্থলে মোতায়েনযোগ্য লেজার অস্ত্র বানানোর চেষ্টা করছে। এই অস্ত্র একবার সফল হলে শত্রুদের স্যাটেলাইটকে অন্ধ করে দেওয়া যাবে। তারপরেও লেজার প্রযুক্তির সামরিক দিক আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। কেননা, মিসাইল বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে শত্রুপক্ষের হামলা ঠেকাতে কয়েক লাখ ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আর সেখানে লেজার অস্ত্র দিয়ে হামলায় খরচ হবে মাত্র কয়েক ডলার।

Scroll to Top