ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোদ্ধায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের স্থানে ‘‘নতুন বাবরি মসজিদের প্রথম ইট’’ স্থাপন করবেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যরা— এমন বিস্ফোরক ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের সিনেটর পালওয়াশা মোহাম্মদ জাই খান।
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেওয়ার পর, পাকিস্তানের সিনেটে দেওয়া পালওয়াশার এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার সিনেটে তিনি বলেন, “অযোধ্যায় নতুন বাবরি মসজিদের প্রথম ইট বসাবেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সৈন্যরা এবং প্রথম আজান দেবেন সেনাপ্রধান আসিম মুনির নিজেই।” তিনি আরও বলেন, “আমরা চুড়ি পরে বসে নেই।”
সিনেটর পালওয়াশা ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হলে শিখ সেনাদের পাকিস্তানে আক্রমণ না করার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন। তার ভাষ্য, “ভারতীয়রা পাকিস্তানকে হুমকি দেয়। কিন্তু তাদের জানা উচিত— শিখ সেনারা পাকিস্তানে হামলা করবে না, কারণ এই পাকিস্তানই তাঁদের গুরু নানকের ভূমি।”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, পাকিস্তানি নেতাদের তরফ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে এই ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য এটিই প্রথম নয়। সম্প্রতি ভারতের বিজেপি সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার পর, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এক জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, “সিন্ধু আমাদের এবং আমাদেরই থাকবে। হয় এর মাধ্যমে পানি প্রবাহিত হবে, না হয় তাদের রক্ত বইবে।” তিনি ভারতের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে সিন্ধু চুক্তি বাতিলের অভিযোগও তোলেন।
এদিকে, পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ দেওয়া এক বার্তায় বলেন, পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে সেই শান্তিপ্রিয়তাকে যেন দুর্বলতা ভাবা না হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারতের যেকোনও আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার সামর্থ্য পাকিস্তানের রয়েছে— যেমনটা ২০১৯ সালে পিটিআই সরকার জাতির ঐক্যবদ্ধ সমর্থনে প্রমাণ করেছে।
