আবারো বিশ্বে ফিরছে করোনা ভাইরাস, সংক্রমণ বেশি হলে আসতে পারে লকডাউন

২০২০ সালে সারা বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপে দেখা দেয়। মৃত্যু, হাসপাতালের স্থানাভাবে হাহাকার, বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান—বিপর্যস্ত হয় জনজীবন। একের পর এক সংক্রমণের ঢেউ দেশকে কাবু করে তোলে।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে। মৃত্যুমিছিল থেমে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করে বিশ্ববাসী। অনেক চেষ্টার পর বিশ্বজুড়ে করোনার আতঙ্ক অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।

তবে পাঁচ বছর পর আবারও সেই পুরনো আতঙ্ক ফিরে আসছে। হংকং, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিশ্বকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। বিশেষ করে হংকং-এ মে মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত ১,০৪২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় বেশি। দেশটির স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যমতে, মার্চে যেখানে পজিটিভিটি রেট ছিল ০.৩১ শতাংশ, এপ্রিল শেষে তা ৫.০৯ শতাংশে পৌঁছে, এবং মে মাসে লাফিয়ে বেড়ে দাঁড়ায় ১৩.৬৬ শতাংশে।

সিঙ্গাপুরেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনের হিসেবে ১০২ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৩। থাইল্যান্ডেও সাম্প্রতিক উৎসব ও ছুটির মৌসুম শেষে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৭১,০৬৭টি সংক্রমণের ঘটনা ও ১৯ জন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সংক্রমণের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব আবারও নতুন লকডাউনের দিকে যেতে পারে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতি ও স্বাভাবিক জীবনে নতুন করে বড় ধাক্কা দিতে পারে। তবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মে মাসে কোনো নতুন কোভিড আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি, যা আশার আলো জোগাচ্ছে। তবুও, সতর্কতা ও প্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই—এমনটাই মত স্বাস্থ্য বিশ্লেষকদের।

Scroll to Top