স্বাদে ও গুণে আমের বিকল্প আর কোনো ফল বোধহয় নেই। তাই তো আমকে ফলের রাজা উপাধি দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে স্বাদের দিক থেকে আমকে টেক্কা দিতে পারে গরমকালে এমন ফল খুব কমই রয়েছে। জ্যৈষ্ঠের ভ্যাপসা গরমে আম ছাড়া কিছু হয় না। খিদে মেটাতে তাই ফ্রিজ থেকে বের করে আম খাওয়ার প্রবণতা আম বাঙালির মধ্যে দেখা যায়!
তবে ভাত খাওয়ার পর আম খেলে হজমে সমস্যা, গ্যাসের সমস্যা, বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে, আম খেলে বমি বমি ভাব বা পেটের সমস্যাও হতে পারে।
ভাত খাওয়ার পর আম খেলে যেসব সমস্যা হয়
হজম সমস্যা: ভাত এবং আমের মতো স্টার্চযুক্ত খাবার ও ফলের হজম প্রক্রিয়া ভিন্ন। একসাথে খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে, কারণ খাবারগুলি হজমে সময় নেয় এবং গ্যাসের সৃষ্টি করতে পারে।
গ্যাসের সমস্যা: আমে ফাইবার ও প্রাকৃতিক চিনি থাকে, যা হজমে সাহায্য করে, কিন্তু বেশি পরিমাণে খেলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হতে পারে, কারণ আম পেটে গ্যাস তৈরি করতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য: আমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। তবে, বেশি পরিমাণে আম খেলে বা ভাত খাওয়ার পর খেলে, এটি কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়াতেও পারে।
বমি বা পেটের সমস্যা: কিছু মানুষের ক্ষেত্রে আম খেলে বমি বমি ভাব বা পেটের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে যারা আগে থেকে হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য আম খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
অন্যান্য সমস্যা: আমে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে পারে। তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের ভাত খাওয়ার পর আম না খাওয়াই ভালো।
ভাত খাওয়ার পর আম না খাওয়াই ভালো। যদি খেতে চান, তাহলে খাবারের ১-২ ঘণ্টা পর খান, এবং পরিমাণ কম রাখুন। যদি হজমের সমস্যা বা অন্য কোনো সমস্যা হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।