আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে যমুনা ঘেরাও এর ঘোষণা

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দুই সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দেন, “যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা না হয়, তবে আমরা যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করব।”

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অতীতের নানা অপরাধের অভিযোগ এনে বলেন, “আওয়ামী লীগ একাধিকবার গণহত্যা চালিয়েছে। এখনো গণহত্যায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা ক্ষতিপূরণ পাননি, আহতদের কান্না আমরা ভুলিনি। এই গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা এবং বিচারের আওতায় না আনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকার ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করছে, অথচ শেখ হাসিনা ও গণহত্যার প্রধান নির্দেশদাতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। বড় অপরাধীরা সবাই পালিয়ে গেলেও, এখন আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মীদের গ্রেপ্তার করে এই অভিযানকে প্রহসনে পরিণত করা হচ্ছে।”

বিচার ও নিষেধাজ্ঞার দাবি
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, “যারা বিভিন্ন পর্যায়ে ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে। অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মী ও সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যারা গণহত্যার সঙ্গে কোনভাবেই জড়িত ছিল না। এটি অপারেশন ডেভিল হান্টের ন্যায্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।”

তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তাঁকে গণহত্যার বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় ওবায়দুল কাদেরকে দেশে এনে বিচার করে ওবায়দুল কাদেরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।”

কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
রাশেদ খান অভিযোগ করেন, “শেখ হাসিনা ভিন্নমতের মানুষকে দমন করতে নির্যাতনের টর্চার সেল (আয়না ঘর) তৈরি করেছিলেন। আওয়ামী লীগকে আর বাংলার মাটিতে কোনভাবেই রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না। তাদের (আওয়ামী লীগকে) নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি অন্তর্বর্তী সরকার আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করে, তবে তাদের উপদেষ্টারাও দায়মুক্তি পাবেন না এবং ভবিষ্যতে তাঁরা শান্তিতে থাকতে পারবেন না। আমাদের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন ও সমাবেশ চলবে।”

Scroll to Top