প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অনেক ছেলেমেয়ে বিদেশে পড়ালেখা করতে যায়। এক ঘটনায় দেখা গেছে, ছেলের একটি সেমিস্টারের টিউশন ফি হিসেবে ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন প্রেস সচিব। এদিন সকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্সের সভায় এ তথ্য জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
দেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, তার উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, একজন তার সন্তানের টিউশন ফি হিসেবে এক সেমিস্টারেই ৪০০-৫০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন।
আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার, গৃহীত পদক্ষেপ ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভা শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফাইন্ডিংস ছিল। যেটা এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। আপনারা জানেন যে অনেক ছেলে-মেয়ে বিদেশে পড়তে যায়। একটা কেসে দেখা যাচ্ছে যে একজন তার সন্তানের টিউশন ফি পিাঠিয়েছেন ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং কীভাবে হয়েছে দেখেন। এটা অবিশ্বাস্য। আমরা তো আগে জানতাম যে একটা ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে, হুন্ডির মাধ্যমে বা অন্য কোনো ওয়েতে টাকাটা পাচার হচ্ছে। আপনি যদি আপনার ছেলেকে টপ ইউনিভার্সিটিতেও পড়ান, আপনার বছরে টিউশন ফি কত লাগে? ঊর্ধ্বে এক কোটি টাকা। এর বেশি তো লাগার কথা না। কিন্তু তার বেলায় দেখা যাচ্ছে যে ৪০০-৫০০ কোটি টাকা তিনি টিউশন ফি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক সেমিস্টারেই এ টাকা পাঠানো হয়েছে।
পাচার হওয়া এ অর্থ ফেরত আনার কথা উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, যে করেই হোক এই টাকা আনতে হবে। এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা। আমার আপনার পকেট থেকে টাকা এরা নিয়ে গেছে। আমাকে আপনাকে গরিব বানিয়ে তারা লন্ডনে একটার পর একটা ব্লক কিনেছে।