নিজেই বলে গেছে আছিয়া—কে তার উপর ভয়ংকর নির্যাতন চালিয়েছে। তার অসহায় কণ্ঠে উচ্চারিত সেই নামটি শুনে সবাই স্তব্ধ!
ঘটনার শুরু দিন পরিবারের সবাই ভেবেছিল, আছিয়া হয়তো অসুস্থ। কিন্তু সত্যিটা ছিল আরও ভয়ংকর!
তার বোন জানায়, রাতে ঘুমিয়ে ছিল, এরপর.
এরপর যা ঘটেছে, তা বলার মতো ভাষা নেই কারও।
তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেওয়া হয়েছিল, যাতে কিছু বলতে না পারে। সকালে যখন সবাই দেখে, আছিয়া নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে, তখন তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ!
মৃত্যুর আগে আছিয়া চারটি কথা বলে গেছে—যা সত্যের পর্দা ফাঁস করেছে।
তার মা, স্বামী, শ্বশুর—সবাই জানত সত্য, কিন্তু ভয় আর লজ্জার কাছে হার মেনেছিল।
নিচের ভিডিও টি দেখুন তবে ভালোভাবে সব কিছু বুজতে পারবেন।
মাগুরায় বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার আট বছরের এক শিশুর মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে তিন আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে মাগুরা কারাগার থেকে আসামিদের ঢাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের নমুনা সংগ্রহের পর বিকেলে পুনরায় মাগুরায় ফিরিয়ে আনা হয়।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম জানান, ‘ভুক্তভোগী শিশুটির ডিএনএ নমুনা ৬ মার্চ মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই সংগ্রহ করা হয়েছিল। আসামিদের মধ্যে একজন নারী, তবে বাকি তিনজন পুরুষের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা সিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়। নমুনা সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা বর্তমানে মাগুরা জেলা কারাগারে রয়েছেন।’ শিশুর ডিএনএ রিপোর্ট থেকে জানা গেছে ধর্ষক ২ জন নয় বরং ৩ জন প্রায় সারারাত ধরে ধর্ষন করে।
প্রসঙ্গত, ৬ মার্চ মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এরপর ৭ মার্চ রাতে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়।
৮ মার্চ চিকিৎসকরা শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান। উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। পরদিন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী হাসপাতালে গিয়ে সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
ঘটনার পর এলাকায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিশুটির পরিবার দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।