মাগুরায় শিশু ধর্ষণসহ নারী নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে সারা দেশ যখন উত্তাল, তার মধ্যেই চট্টগ্রামে ঘটল শিশু ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর আরেক ঘটনা। এবার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে মেয়েশিশুকে ধর্ষণের।
প্রতিদিন শিশুটির মা যখন কাজে বেরিয়ে যান, নাইটগার্ডের চাকরি শেষে তখন বাসায় ফেরেন বাবা। অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেই সুযোগ নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে নিজের কন্যাশিশুকে ‘যৌন নির্যাতন’ করে আসছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে শিশুটির মায়ের এক কৌশলে ধরা পড়েছে বিষয়টি।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালিতে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৯ মার্চ) রাতে তাকে আটক করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিম।
জানা যায়, কোতোয়ালি থানার বলুয়ারদিঘীর পূর্বপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিজের ১০ বছরের কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রদীপ কুমার বনিক (৫২) নামের ব্যক্তিকে।
রোববার রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল যায় এবং এ তথ্য নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: মার্কেটে দুই তরুণীকে ‘জিম্মি’, পুলিশ-সাংবাদিকদের প্রবেশে লাগবে অনুমতি!
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর মা স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। ঘটনার দিন তিনি কর্মস্থলে যাওয়ায় বাসায় একা থাকা অবস্থায় প্রদীপ তার কন্যাকে ধর্ষণ করে।
শিশুটি পুলিশকে জানিয়েছে, এর আগেও তার বাবা একাধিকবার তাকে যৌন নির্যাতন করেছে। এবার মায়ের পরামর্শে সে একটি মোবাইল ফোনে গোপনে তার বাবার অপরাধের ভিডিও ধারণ করে, যা পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই ফুটেজই অপরাধের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ঘটনাটি সামনে আসার পর পুলিশ প্রদীপ কুমার বনিককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। আর শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) বিভাগে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট আইনগত প্রক্রিয়ায় জমা দেয়া হবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: স্কুল শিক্ষার্থীকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেফতার
আটক প্রদীপ কুমার বনিক চকবাজার মতি টাওয়ার মার্কেটের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, ভিকটিমের জবানবন্দি ও ভিডিও প্রমাণের ভিত্তিতে আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ইফতার রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক ব্যবসায়ীর বসতঘর পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে নগদ অর্থ, মালামাল, স্বর্ণালংকার ও বসতঘরসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ইফতারের আগে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের সাইদুল হক মাঝি বাড়িতে সুমন নামে এক ব্যবসায়ীর ঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা জানান, বিকেলে সুমনের স্ত্রী ইফতারের জন্য ভাত রান্না করছিলেন। ওই সময় ঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের বিচার না পেয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা, প্রধান আসামি গ্রেফতার
পরে কমলনগর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এরই মধ্যে বসতঘর, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
কমলনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাকিবুল হাসান জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।