একসময় একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত রাশেদ খান মেনন। তিনি বাংলাদেশ ওয়র্কস পার্টির সভাপতি এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দলের নেতা। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী হন এবং পরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী পদেও নিয়োগ পান।
২০০৮ সালের নির্বাচনেও ঢাকা-৮ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং জয়ী হন। তবে, এই সময় প্রশাসনের সহায়তায় ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল। গত ১৬ বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাশেদ খান মেনন ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ তৈরি করেছেন, এমন অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে এই অভিযোগের কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় মেনন দাবি করেছিলেন, তার মোট ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৭১২২৬ টাকার সম্পদ রয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তার পরিবারের নামেই কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। শুধু দেশেই নয়, বিদেশে তিনি বিশাল সম্পদের মালিক। দুর্নীতি দমন কমিশন জানিয়েছে, মেনন এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে যুক্তরাজ্য, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে বহু সম্পত্তি এবং ব্যবসা রয়েছে।
এছাড়া, ঢাকা শহরের গুলশান ও বনানী এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট এবং হাজার বিঘা জমির মালিকানা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এমপি হিসেবে থাকার সময় বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি এবং নিয়োগ বাণিজ্য পরিচালনার।
বিএনপি ও জামায়াত তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য তাকে মিথ্যা অভিযুক্ত করেছে বলে দাবি করে। তবে, সমালোচকরা বলছেন, তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য দুর্নীতি ও অপকর্মে জড়িত হয়েছেন। সর্বশেষ, ভোটারদের অংশগ্রহণে নিম্নমানের প্রতিফলন ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এভাবেই তার রাজনৈতিক জীবন এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ড একে একে সামনে এসেছে।