বরগুনার তালতলী উপজেলায় ঈদের নামাজের মধ্যে ইমামকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে চাপাতিসহ যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন মুসল্লিরা। আজ সোমবার ঈদের দিন উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের আঙ্গাপাড়া শিকদার বাড়ি মসজিদের ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আটক যুবকের নাম মাসুম (৩২)। তিনি কড়ইবাড়িয়া আলীর বন্দর গ্রামের সাইদুলের ছেলে। মাসুম আলীর বন্দর এলাকার একটি মসজিদের ইমামতি ছেড়ে বর্তমানে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানির গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী ইমামের নাম মো. ইমরান। তাঁর বাড়ি আলীর বন্দর এলাকায় হলেও পাশের ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে ইমাম হিসেবে কর্মরত আছেন।
তালতলী থানার উপপরিদর্শক সুশান্ত ঘটনাস্থল থেকে ফিরে জানান, অভিযুক্ত মাসুম ও ইমাম ইমরান একসময়ে বন্ধু ছিল। পূর্বশত্রুতার জেরে মাসুম ইমাম ইমরানের ওপর হামলা চালায়। গত কোরবানি ঈদের পর থেকে তাঁদের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হয়। মাসুম গতকাল ঢাকা থেকে বাড়ি আসে। পুলিশ জানায় আসার সময় দুই ফুট লম্বা চাপাতি সঙ্গে করে নিয়ে আসেন।
আজ ঈদগাহে নামাজ পড়ার সময় ঘাতক মাসুম ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে দাঁড়ায়। ইমাম রুকুতে গেলে তাঁর সঙ্গে থাকা চাপাতি দিয়ে আঘাত করতে গেলে মুসল্লিরা তাঁকে চাপাতিসহ ধরে ফেলেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে মাসুমকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার বিষয় নিয়ে মাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে আইনি কার্যক্রম চলমান।