সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললো অন্তর্বর্তী সরকার

সম্প্রতি নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্ক নাকি খারাপের দিকে যাচ্ছে। তবে এই বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের একজন সিনিয়র উপদেষ্টা। তিনি জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গেও সরকারের সম্পর্ক স্বাভাবিক ও ইতিবাচক রয়েছে।

তিনি জানান, সম্প্রতি সেনাপ্রধান তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। আর তার পরদিন অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন তিন বাহিনীর প্রধান, আইজিপি, বিজিবি ডিজি, কোস্টগার্ড ডিজি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, এবং জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর মতো গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা।

তবে প্রশ্ন উঠেছে, প্রথম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইজিপির নাম ছিল না কেন। এ বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা করেন, আইজিপি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার নাম বাদ পড়াটা ছিল সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং সেটি সংশোধনযোগ্য।

বৈঠকটি নিয়ে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, এটি কি কোনো বিশেষ সংকেত বহন করে, তখন তিনি স্পষ্ট করেন—এটি ছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত পর্যালোচনামূলক বৈঠকের অংশ। তিনি বলেন, এরকম বৈঠক এর আগেও চার-পাঁচবার হয়েছে। ল অ্যান্ড অর্ডার পরিস্থিতি রিভিউ করা সরকারের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে মানবিক করিডোর ইস্যুতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব স্পষ্ট গুজব এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যাখ্যা।

তিনি অভিযোগ করেন, কিছু গোষ্ঠী—বিশেষ করে সাবেক স্বৈরশাসকের অনুসারীরা—সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে ঘিরে দ্বৈত নাগরিকত্বের যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলোও সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তিনি বলেন, যারা এসব অভিযোগ করছেন, তারা আজ পর্যন্ত কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। তিনি মন্তব্য করেন, এই অভিযোগ যদি বিদেশে হতো, তাহলে মানহানি মামলা হতো। তবুও সরকার ধৈর্যের সঙ্গে বারবার বলছে—আপনারা যদি প্রমাণ দেখাতে পারেন, আমরা তা গ্রহণ করতে প্রস্তুত।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের সচেতন জনগণ ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম এই ধরণের অপপ্রচার ও রাজনৈতিক গুজব থেকে সত্য আলাদা করতে পারবেন।

Scroll to Top