বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা শামসুজ্জামান দুদু সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে সতর্ক করে বলেছেন, “ভারতকে এত ছোট করে ভাববেন না। শেখ হাসিনা ও তার দলের হাতে অস্ত্র, টাকা এবং ক্ষমতার যে মজুদ রয়েছে, তা ছোট করে দেখার ভুল করবেন না। সতর্ক থাকতে হবে।”
দুদু অভিযোগ করেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দেশজুড়ে সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংক লুট এবং সিন্ডিকেট চালিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ করে তুলেছে। তিনি উল্লেখ করেন, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ভুয়া নির্বাচন করে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করা হয়েছে। ২০১৪ সালের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের মধ্যরাতের ভোট ডাকাতি দেশে-বিদেশে ব্যাপক নিন্দিত হয়েছে। এসব নির্বাচন আয়োজনকারীরা এখনো পদে বহাল রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ছাত্র-জনতার প্রাণহানির ঘটনাগুলো ঘটেছে, অথচ এর জন্য কেউ জবাবদিহি করেনি। আওয়ামী লীগের শাসনামলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নামে নির্বিচারে খুনের ঘটনা ঘটলেও সরকারের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
দুদু আরও উল্লেখ করেন, বিএনপি একাধিকবার ক্ষমতায় এসেছে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “ইলেকশন দিলেই যদি আপনারা জিততে পারেন, তাহলে এত ভয় কেন? দেশের জনগণ আপনাদের চিনেছে, আপনাদের যদি সমর্থন থাকে, তবে নির্বাচন দিন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসুন।”
তার বক্তব্যে তিনি বিএনপির অতীত আন্দোলন এবং নেতৃত্বের প্রসঙ্গ তুলে ধরে দাবি করেন, জনগণকে সাথে নিয়ে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করাই বিএনপির শক্তি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের অবস্থান নিয়ে তার সমালোচনা ছিল তীব্র।