গাজীপুরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তবে আহতদের দাবি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকায় মোজাম্মেলের পৈত্রিক বাড়ির সামনে কিছু লোকজন অবস্থান নেয়। পরে তারা বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় মসজিদে ডাকাত পড়ার ঘোষণা দেওয়া হলে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের ওপর চড়াও হয়। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এ ঘটনার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, “গাজীপুরে আজকেই হবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষদিন, আমরা আসছি…”
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার পরিচয়ে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে মারধর করেছেন। এতে ১২-১৩ জন আহত হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।”
গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন— শুভ শাহরিয়া (১৬), ইয়াকুব (২৪), সৌরভ (২২), কাশেম (১৭) ও হাসান (২২)।
আহত সৌরভের বন্ধু পিয়াস জানান, “রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে যায়। এরপর আওয়ামী লীগের লোকজন মাইকিং করে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার বন্ধুসহ অনেকেই আহত হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছে।” এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো নিহতের খবর নিশ্চিত করা যায়নি।.