আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার নাম একটি মামলার অভিযোগপত্র থেকে বাদ দিতে থানায় লিখিত সুপারিশ করেছেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাদেকুল ইসলাম। এই অভিযোগ এনে গত বুধবার রাতে তার কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছে জেলা বিএনপি।
জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মইনুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী স্বাক্ষরিত ওই চিঠির অনুলিপি বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক ও আমিনুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মইনুল হাসান বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা বিএনপি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্যাখ্যা তলবের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি নেতা সাদেকুল ইসলাম সম্প্রতি ফুলছড়ি ওসিকে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের মামলার অভিযোগপত্র থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতার নাম বাদ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন।
এ ছাড়া সাদেকুল ইসলাম ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবদুল হাকিমকে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ফজলুপুর ইউনিয়ন শাখার (প্রস্তাবিত) সভাপতি করার জন্য প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। যুবলীগ নেতা হাকিম ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তার পক্ষে আদালতে সাক্ষ্যও দিয়েছেন তিনি। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাত দিনের মধ্যে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
থানায় সুপারিশের কথা স্বীকার করে বিএনপি নেতা সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের নামে সুপারিশ করেছি, তারা বিএনপির নেতাকর্মী। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ফজলুপুর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় প্রতিহিংসাবশত স্থানীয় কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মীর নাম দেওয়া হয়েছে। আমি সভাপতি হিসেবে তাদের জন্য সুপারিশ করেছি মাত্র।’