শুধু নিয়ত করলেই জান্নাতে যাওয়া যাবে না। যেমন ধরুন, আপনি চট্টগ্রামগামী ট্রেনে উঠেছেন, অথচ আপনার গন্তব্য রংপুর—এমন হলে নিয়ত যত খাঁটি হোক, আপনি রংপুরে পৌঁছাবেন না। তাই নিয়তের পাশাপাশি যাত্রাটাও সঠিক হতে হবে।
কোরআন-হাদিসে এমন কিছু গুণ বা আলামত বর্ণনা করা হয়েছে, যেগুলো জান্নাতিদের মধ্যে পাওয়া যায়। চলুন জেনে নিই, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম তিনটি রোগ বা গুণ কী:
১. বিনয় ও নম্রতা
জান্নাতিরা সাধারণত সমাজে নিরীহ, নম্র, বিনয়ী প্রকৃতির হয়। তারা কারো ওপর দাপট দেখায় না, গায়ের জোর খাটায় না। বরং সবাই তাদের উপর মাদবরি খাটালেও তারা ধৈর্য ধরেন। এদের সম্পর্কে হাদিসে এসেছে—”যদি তারা আল্লাহর নামে কিছু চায়, আল্লাহ তা ফিরিয়ে দেন না।” এই বিনয়ই জান্নাতিদের বড় আলামত।
২. আল্লাহর ভয়ে গুনাহ থেকে বিরত থাকা
কেউ দেখছে না, কিন্তু মালিক দেখছেন—এই বিশ্বাসে যখন কেউ গোপনে গুনাহ ছেড়ে দেয়, তখন সে জান্নাতের পথেই চলছে। চুরি, গীবত বা অন্য যেকোনো হারাম কাজ থেকে ফিরে আসার মূলে যদি আল্লাহর ভয় থাকে, তাহলে তার গন্তব্য ঠিক আছে।
৩. শেষ পরিণতির ভয়
কেউ সারাজীবন নেক কাজ করে, কিন্তু শেষ মুহূর্তে যদি গোমরাহ হয়, তাহলে সে জান্নাত থেকে বঞ্চিত হতে পারে। আবার কেউ সারাজীবন খারাপ কাজ করেও জীবনের শেষ মুহূর্তে তাওবা করে জান্নাত পেয়ে যেতে পারে। তাই কাউকে হেয় করা যাবে না, নিজের নিয়েও অহংকার করা যাবে না।
জান্নাতের পথে থাকাটাই বড় কথা। তার জন্য প্রয়োজন বিনয়, আল্লাহভীতি ও সঠিক পথের অনুসরণ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে জান্নাতিদের গুণে গুণান্বিত করেন, আমিন।