সৌদি ক্যালেন্ডার বলছে ৬ জুন, বাংলাদেশে ঈদ হতে পারে ৭ জুন; তবে চাঁদের ওপর নির্ভর করবে চূড়ান্ত ঘোষণা।
নিজস্ব প্রতিবেদক: আসছে ঈদুল আজহা—পবিত্র কোরবানির উৎসব। প্রতিবছরের মতো এবারও চোখ রাখছে মুসলিম বিশ্ব আকাশের দিকে, সেই কাঙ্ক্ষিত সোনালি বাঁকা চাঁদের আশায়। কিন্তু সৌদি আরব ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে—এ বছর ঈদ হবে ৬ জুন, শুক্রবার।
সৌদির সরকারি ক্যালেন্ডার ‘উম আল কুরা’র হিসাব অনুযায়ী, ৫ জুন পড়বে আরাফাত দিবস এবং ৬ জুন পালিত হবে ঈদুল আজহা। এই হিসাবের ভিত্তিতে ২৮ মে থেকে শুরু হবে জিলহজ মাস।
যদিও ইসলামে ঈদের সময় নির্ধারণে চাঁদ দেখার নির্দেশ রয়েছে, তবুও সৌদি আরব বিগত কয়েক বছর ধরে জ্যোতির্বিদ্যার ভিত্তিতে আগেই তারিখ ঘোষণা করে আসছে।
হাদিসে নবীজি (সা.) বলেছেন—“তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রেখো এবং চাঁদ দেখে ঈদ করো।”এই হাদিস ইসলামে সময় নির্ধারণে প্রকৃত চাঁদ দেখার গুরুত্বই বোঝায়।
তবে বাস্তবে সৌদি আরব ২৭ মে সন্ধ্যায় জনগণকে চাঁদ দেখার আহ্বান জানালেও তার আগেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ঈদের দিন ঘোষণা করে ফেলেছে।
বাংলাদেশ সাধারণত সৌদি আরবের একদিন পর ঈদ উদযাপন করে। সে অনুযায়ী, বাংলাদেশে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ৭ জুন, শনিবার। তবে এটি নির্ভর করছে ২৭ মে (সোমবার) বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ার ওপর।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি ওই দিন সন্ধ্যায় বৈঠকে বসে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে।
সৌদি আরব যদি ঘোষিত তারিখেই ঈদ পালন করে এবং বাস্তবে আকাশে চাঁদ দেখা না যায়—তাহলে এই ধর্মীয় সিদ্ধান্তকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহর অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—চাঁদের পথ অনুসরণ নাকি বিজ্ঞানভিত্তিক ক্যালেন্ডার অনুসরণই ইসলামসম্মত?
এবারের ঈদুল আজহা শুধু কোরবানির আনন্দ নয়, বরং এটি মুসলিম বিশ্বের জন্য এক চিন্তার দিকও তৈরি করছে—আমরা কি চাঁদের সঙ্গে ধর্ম পালন করছি, না কি হিসেব-নির্ভর এক আধুনিক পন্থা বেছে নিচ্ছি?