পরীক্ষার খাতা দেখছেন সরকারি কলেজের পিওন, অধ্যক্ষ বরখাস্ত

শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা দেখছেন কলেজের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের পিপারিয়া শহরের শহীদ ভগত সিং সরকারি কলেজে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে।

পরে কলেজের অধ্যক্ষ ও এক অধ্যাপককে বরখাস্ত করা হয়েছে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মধ্যপ্রদেশের নর্মদাপুরম জেলার একটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এবং একজন অধ্যাপককে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেখানে একটি ভাইরাল ভিডিওতে একজন পিওনকে শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্থানীয় বিধায়ক ঠাকুরদাস নাগবংশীর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। পরে তিনিই কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এই ঘটনায় অধ্যক্ষ এবং নোডাল অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বলে রাজ্যটির যুব বিষয়ক ও সমবায় মন্ত্রী বিশ্বাস সারং নিশ্চিত করেছেন।

মন্ত্রী বলেছেন, অধ্যাপক (যাকে উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল) এবং পিওনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকার সর্বদা উচ্চশিক্ষার মান বজায় রাখার জন্য সচেষ্ট। এই ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক এবং ক্ষমার অযোগ্য। কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পিপারিয়া-ভিত্তিক ভগত সিং সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রাকেশ ভার্মা দাবি করেছেন, তাকে এবং অধ্যাপক রামগুলাম প্যাটেলকে গত ৪ এপ্রিল বরখাস্ত করা হয়েছে। ভার্মা বলেছেন, উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ একজন অতিথি শিক্ষককে দেওয়া হয়েছিল, যিনি কলেজে নিযুক্ত একজন বই উত্তোলকের মাধ্যমে উত্তরপত্রগুলো একজন পিওনের হাতে তুলে দেন।

ভার্মা আরও বলেছে, পিওনের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের ভিডিও ক্লিপটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর এই বছরের জানুয়ারিতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তিনি আরও দাবি করেছেন, ছিন্দোয়ারায়ার রাজা শঙ্কর শাহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অধ্যাপক প্যাটেলকে খাতা মূল্যায়নের জন্য নোডাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল।

ভার্মা উল্লেখ করেছেন, তিনি উচ্চশিক্ষা বিভাগকে চিঠি লিখে তার বরখাস্তের প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন।

Scroll to Top