ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনায় হামলার জন্য ইসরায়েল বছরের পর বছর প্রস্তুতি নিয়েছিল। এর অংশ হিসেবে, ইরানের অভ্যন্তরে একটি ড্রোন ঘাঁটি গড়ে তোলা হয় এবং দেশটিতে নির্ভুল অস্ত্র ব্যবস্থা এবং কমান্ডো পাচার করা হয়।
ইসরাইলের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা দ্য টাইমস অব ইসরায়েলকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আজকের এই হামলাটি আইডিএফ এবং মোসাদ গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে কঠোর যৌথ পরিকল্পনার উপর নির্ভরশীল ছিল।
ওই কর্মকর্তার মতে, মোসাদ এজেন্টরা তেহরানের কাছে ইরানের মাটিতে একটি ড্রোন ঘাঁটি স্থাপন করে। রাতারাতি ড্রোনগুলি সক্রিয় করা হয় এবং এসব ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারগুলোতে হামলা করা হয়।
এছাড়াও, ইরানে হামলার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অস্ত্র ব্যবস্থা বহনকারী যানবাহন দেশটিতে পাচার করা হয়েছিল।
টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, পাচার করা এই সিস্টেমগুলি ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়, ইসরায়েলি বিমানগুলির আধিপত্য বিস্তারে ভূমিকা রাখে এবং ইরানের উপর স্বাধীনভাবে হামলার সুযোগ করে দেয়।
ইজরাইলের তৃতীয় গোপন প্রচেষ্টা ছিল, মোসাদ কমান্ডোরা মধ্য ইরানে বিমান বিধ্বংসী স্থানগুলির কাছে নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, “স্থানীয় গোয়েন্দাদের চোখ এড়িয়ে ইরানের কেন্দ্রস্থলে অভিযান পরিচালনাকারী বিশেষ বাহিনী এবং এজেন্টদের দ্বারা যুগান্তকারী চিন্তাভাবনা, সাহসী পরিকল্পনা এবং উন্নত প্রযুক্তির অভিযানের উপর নির্ভর করে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।”