গঙ্গার জোয়ার ভাটার সময় কত এ সর্ম্পকিত বিষয়গুলো আজকে আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। নিচে এ সর্ম্পকে বিস্তারিত ধারনা আলোচনা করা করা হলো।
গঙ্গার জোয়ার ভাটার সময়
আর্টিকেলের ভিতরে যা থাকছে
আমরা সকলেই জোয়ার ভাটা শব্দটির সাথে খুব পরিচিত। আর আমরা প্রত্যেকেই জানি যে পৃথিবীতে চাঁদের আকর্ষণ বলের কারণে জোয়ার ভাটা তৈরি হয়। এটি নিয়মিত একটি প্রক্রিয়া। গঙ্গার জোয়ার ভাটার সময়? জোয়ার ভাটা মুলত একটি নির্দিস্ট সময়ে প্রবাহিত হয়ে থাকে। জোয়ারের সময় জল সমুদ্র থেকে বিভিন্ন খাল বিল নদীতে পতিত হয় এবং ভাটার সময় জল আবার নিচে নেমে আসে।
সাধারণত পৃথিবীর বাইরের মহাকর্ষীয় শক্তির প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের জল নিয়মিত বিরতিতে ফুলে ওঠা কে জোয়ার বলে এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে। গঙ্গার জোয়ার ভাটার সময়? প্রতিদিন দুবার করে জোয়ার ভাটা হয়ে থাকে প্রতি ১২ ঘণ্টা পরপর এটি দেখা যায়। জোয়ার ভাটা আমাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপকার সাধন করে থাকে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপকার করে থাকে।
এ পৃথিবীর চারদিকে একবার ঘুরে আসতে চাদের সময় লাগে প্রায় ২৭ দিন। পৃথিবীর ২৪ ঘন্টায় আবর্তন করে এবং এই ২৪ ঘন্টায় চন্দ্র আপন কক্ষপথে প্রায় ১৩° পথ অতিক্রম করে। গঙ্গার জোয়ার ভাটার সময়? এই ১৩° পথ অগ্রসর হতে পৃথিবীর সময় লাগে ১৩ × ৪ মিনিট বা ৫২ মিনিট। গঙ্গার জোয়ার ভাটার সময়? কারন চন্দ্র ২৭ দিনে একবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। সুতরাং পৃথিবী ২৪ ঘণ্টায় একবার আবর্তন করলেও কোনো স্থান একবার চন্দ্রের সম্মুখে আসবার পরে পুনরায় সম্মুখে আসতে সময় লাগবে ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট। এই সময়কালকে এক চান্দ্রদিন বলে। প্রধানত দুটি কারণে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়। ১) চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব ২) পৃথিবীর আবর্তনের ফলে উৎপন্ন কেন্দাতিগ শক্তি। নিচে তা দেওয়া হলো-
(১) চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব: মহাকর্ষ সূত্র অনুযায়ী মহাকাশে বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র প্রভৃতি প্রতিটি জ্যোতিষ্ক পরস্পরকে আকর্ষণ করে। তাই এর প্রভাবে সূর্য চন্দ্র অপেক্ষা ২ কোটি ৬০ লক্ষ গুণ বড় হলেও পৃথিবী সূর্য হতে গড়ে ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কিন্তু পৃথিবী থেকে চন্দ্রের গড় দূরত্ব মাত্র ৩৮.৪ লক্ষ কিলোমিটার। এ কারণেই পৃথিবীর ওপর সূর্যের আকর্ষণ শক্তি চন্দ্র অপেক্ষা অনেক কম। ফলে জোয়ার-ভাটার ব্যাপারে সূর্য অপেক্ষা চন্দ্রের প্রভাব বেশি। হিসাব করে দেখা গেছে যে, জোয়ার উৎপাদনে সূর্যের ক্ষমতা চন্দ্রের ৪৯ ভাগ। চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থিত হলে চাঁদ ও সূর্য উভয়ের আকর্ষণে জোয়ার অত্যন্ত প্রবল হয়।
(২) পৃথিবীর আবর্তনের ফলে উৎপন্ন কেন্দ্রতিগ শক্তি: পৃথিবী নিজ মেরুরেখার চারদিকে অনবরত আবর্তন করে বলে কেন্দ্রিাতিগ শক্তি বা বিকর্ষণ শক্তির সৃষ্টি হয়। এই কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে পৃথিবীর প্রতিটি অণুই মহাকর্ষ শক্তির বিপরীত দিকে বিকর্ষিত হয় বা ছিটকে যায়। তাই পৃথিবীর কেন্দাতিগ শক্তির প্রভাবে যেখানে মহাশক্তির প্রভাবে জোয়ারের সৃষ্টি হয়, তার বিপরীত দিকে সমুদ্রের জল বিক্ষিপ্ত হয়েও জোয়ারের সৃষ্টি করে।
পৃথিবী পৃষ্ঠে চন্দ্রের অবস্থানের সম্মুখস্থ ক স্থানে মুখ্য জোয়ার হয়েছে। পৃথিবীর একবার আবর্তনের পর অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা পর আবার ক স্থান তার পূর্ব অবস্থানে আসবে। কিন্তু ততক্ষণে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় চন্দ্র নিজের প্রদক্ষিণ পথে ১৩° এগিয়ে প স্থান হতে ফ স্থানে সরে গেছে। সুতরাং ক স্থানে খ অবস্থানে পৌঁছালে আবার ক স্থানে জোয়ার হবে। ক স্থানের খ অবস্থানে পৌঁছাতে অর্থাৎ ১৩° পথ অতিক্রম করতে সময় লাগবে ১৩ × ৪ বা ৫২ মিনিট। অতএব ক স্থানে একবার মুখ্য জোয়ারের পর আবার মুখ্য জোয়ার হবে ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট পর।
সুতরাং কোনো নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট একটি সময়ে মুখ্য জোয়ার হওয়ার ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট পরে সেখানে গৌণ জোয়ার হয় এবং মুখ্য জোয়ারের ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট পর সেখানে আবার মুখ্য জোয়ার হয়। তাই প্রত্যেক স্থানে জোয়ারের ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পরে ভাটা হয়। এ পৃথিবীর চারদিকে একবার ঘুরে আসতে চাদের সময় লাগে প্রায় ২৭ দিন।জোয়ার ভাটার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠে জোয়ার তরঙ্গের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
আজকে জোয়ার ভাটার সময়সূচী
আপনারা অনেকেই জোয়ার ভাটার সময়সূচী সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানেন না। আজকে আমরা আপনাদের গঙ্গার জোয়ার ভাটার সময়সূচী কলকাতা সর্ম্পকে জানাবো। নিচে আজকে জোয়ার ভাটার সময়সূচী কলকাতা দেওয়া হলো-
কোলকাতায় (ফুল ঘাট) জোয়ার শুরু 11:58 AM , জলস্তর সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে 4:45 PM, এর পরে ভাটা শুরু। দ্বিতীয়বার জোয়ার শুরু 11:58 PM ,জলস্তর… কোলকাতায় (ফুল ঘাট) জোয়ার শুরু 11:30 AM , জলস্তর সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে 4:15 PM, এর পরে ভাটা শুরু। দ্বিতীয়বার জোয়ার শুরু 11:45 PM ,জলস্তর …
আরও জানুনঃ কলকাতায় হলমার্ক সোনার দাম কত 2023
শেষকথা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা গঙ্গার জোয়ার ভাটার সময় জেনেছেন। এছাড়াও যদি এ সর্ম্পকে কোনোরকম প্রশ্ন আপনাদের মনে থেকে যায় তাহলে আপনারা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে তা আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব এ সর্ম্পকে আপনাদের আরও তথ্য জানাতে।