আপনারা অনেকেই বিশ্বকাপের দাম কত বাংলাদেশি টাকায় তা জানেন না। আবার অনেকেই তা জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ সর্ম্পকিত তথ্য খুঁজে থাকেন। আজকে তাই বিশ্বকাপের দাম কত বাংলাদেশি টাকায় এ সর্ম্পকিত বিষয়গুলো আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। নিচে এ সর্ম্পকে বিস্তারিত ধারনা আলোচনা করা করা হলো।
বিশ্বকাপের দাম কত বাংলাদেশি টাকায়
আর্টিকেলের ভিতরে যা থাকছে
বিশ্বকাপ বলতে আমরা সাধারণ ভাষায় ফুটবল বিশ্বকাপকেই বুঝি। ফুটবল বিশ্বকাপ প্রথমে জুলে রীমে ট্রফি নামে প্রচলিত ছিল। আর এই ফুটবল হচ্ছে গোটা বিশ্বের আয়োজিত সকল খেলার থেকে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করে থাকা একটি খেলা। বিশ্বকাপের দাম কত বাংলাদেশি টাকায়? তাই আপনাদের মধ্যে অনেকেরই এই ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফির দাম কত তা জানার অনেক আকাঙ্ক্ষা দেখা যায়। তবে আকাঙ্ক্ষা থাকাটাই স্বাভাবিক কেননা এ জনপ্রিয় খেলার পুরস্কারকৃত বিশ্বকাপটিও সাধারণ কিছু নয়। এটি খুব দামি একটি উপহার যার সর্ম্পকে সকলেই জানতে চাই। তাই আজকে আমরা আপনাদের এ সর্ম্পকে বিস্তারিত ধারনা জানাবো।
বিশ্বকাপের বর্তমান ট্রফির নকশা করেন ইতালিয়ান ভাস্কর সিলভিও গাজ্জানিকা। কাতার বিশ্বকাপে মোট ৩২ টি দল অংশগ্রহণ করেছিল। এই ৩২ টি দলকে প্রাথমিকভাবে আটটি দলে বিভক্ত করে খেলা গুলি অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকাপের দাম কত বাংলাদেশি টাকায়? প্রত্যেকটি দলে মোট চারটি করে খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখান থেকে জইরা পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছেছে। পরবর্তী রাউন্ড খেলা ছিল নকআউট খেলা। বিশ্বের সব শক্তিশালী ফুটবল দলগুলি এই আসরে খেলে থাকে। এবং ফুটবলের সবচাইতে বড় আসর হয়ে থাকে এই বিশ্বকাপ ফুটবল। এবং প্রতিটি বিশ্বকাপের প্রাইজমানিও অবশ্যই থাকে।
বর্তমানে বিশ্বকাপের স্বর্ণালী ট্রফির আর্থিক মূল্য প্রায় ১ কোটি মার্কিন ডলার। বিশ্বকাপের দাম কত বাংলাদেশি টাকায়? যা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে বাংলাদেশি টাকায় ৪৩০ কোটি টাকার মত। এছাড়া রানার্সআপ দল পাবে প্রায় ৩১০ কোটি টাকা। আর যদি আমরা বিশ্বকাপ ট্রফিটের ভারতীয় মুদ্রায় দাম হিসেব করে থাকি তাহলে এর দাম হয় ১৬৫ কোটি ২৬ লাখ রুপি।
বিশ্বকাপে ব্যবহারকৃত স্বর্ণের পরিমাণ
বর্তমান ২০২২ বিশ্বকাপে ব্যবহৃত ট্রফিটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ ক্যারেট এর ৫ কেজি সোনা, তার আনুমানিক দাম বাংলাদেশের হিসেবে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ থেকে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার মতো। এই উচ্চতা ৩৬.৮ সেন্টিমিটার ও ওজন ৬.১ কেজি , ১৮-ক্যারট সোনা দিয়ে তৈরি ও ওজন ৬,১৭৫ গ্রাম। এর ম্যালাকাইটে তৈরি ভিত্তিমঞ্চের উচ্চতা ১৩ সেন্টিমিটার। ম্যালাকাইটের দুটি মুকুট, একটি অর্ধ মূল্যবান পাথর, sont এর ভিত্তিতে এমবেডেড, যা প্রতিটি চ্যাম্পিয়ন দেশের নাম এবং বছর বহন করে মন্ডে ১৯৭৪ থেকে।
র্তমানে বাংলাদেশে সোনার দাম অনেক বেশি। বিশ্বকাপের দাম কত বাংলাদেশি টাকায়? ১-গ্রাম সোনার দাম ৪৯২৭.১৫ টাকা। পাশাপাশি, ১ আউন্স সোনার দাম ১৫৩,২৫১.৪৮ টাকা। একইভাবে, ১ কেজি সোনার দাম ৪৯২৭৭৪৮ টাকা । বাংলাদেশের বেশিরভাগ মহিলাই বিভিন্ন গয়না সামগ্রী আকারে সোনা কেনার ব্যাপারে খুব আগ্রহী।
১৯৭০ সালে ব্রাজিল ৩য় বার বিশ্বকাপ জয় করে বিশ্বকাপের এই ট্রফি অর্থাৎ জুলেরিমে ট্রফিটি চিরতরের জন্য জিতে নেয়, যা স্থায়ীভাবে ব্রাজিলেই রয়ে গেছে। তখন প্রয়োজন পড়ে আরো একটি ট্রফির। বিশ্বকাপের দাম কত বাংলাদেশি টাকায়? তাই ১৯৭১ সালে সিলভিও গাজ্জানিকা আধুনিক নকশায় নতুন করে তৈরি করেন এই ট্রফি। সেই যুগে এর পেছনে খরচ হয়েছিল ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। সময়ের সাথে মহিমার বৃদ্ধিতে বেড়েছে এই ট্রফির আর্থিক মূল্যও।
এছাড়া আরেকটি বড় বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টের নাম হল ক্রিকেট বিশ্বকাপ ট্রফি। এই বিশ্বকাপ ট্রফিটির দামও মোটামুটি কম নয়। ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হয় ১৯৭৫ সাল থেকে। ১৯৯৯ সালের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি দেওয়া হতো আলাদা আলাদা প্রত্যেক আয়োজনের জন্য। এর উচ্চতা ২৬ সেন্টিমিটার এবং ওজন প্রায় ১১ কিলোগ্রাম। এই বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দাম ও নেহায়েত কম নয়। নিরেট সোনার তৈরি এই ট্রফির মূল্য ১৬৫ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ভারতীয় মুদ্রায় দাম। বাংলাদেশের মুদ্রায় এর দাম আরো বেশি হবে। বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর নাম ছিল সেটি জুয়েরীমে ট্রফি। এটি শুরু হয় ১৯৩০ সাল থেকে।
আরও জানুনঃ মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে 2023
শেষকথা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা বিশ্বকাপের দাম কত বাংলাদেশি টাকায় জেনেছেন। এছাড়াও যদি এ সর্ম্পকে কোনোরকম প্রশ্ন আপনাদের মনে থেকে যায় তাহলে আপনারা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে তা আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব এ সর্ম্পকে আপনাদের আরও তথ্য জানাতে।